অর্থনীতি ডেক্স:
চাল প্যাকেট করলেই দাম বেড়ে অযৌক্তিক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তবে দিনের পর দিন ভোক্তা অতিরিক্ত টাকা গুনলেও এর প্রতিকার তাদের হাতে নেই বলে দাবি সংস্থাটির।
গতকাল সোমবার রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার চাহিদা ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সভাতে এ কথা জানান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে চালের বার্ষিক চাহিদার তুলনায় ২০ লাখ টন বেশি চাল উৎপাদন হয়। তবে স্বস্তি নেই চালের বাজারে। খোলা চাল প্যাকেটজাত হয়ে পকেট কাটছে ক্রেতাদের।
মূলত চাল প্যাকেট করেই অযৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে মুনাফা করে চলেছে গুটি কয়েক করপোরেট প্রতিষ্ঠান। খুচরা ব্যবসায়ীদের এমন দাবির সঙ্গে একমত কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে সংস্থাটি। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, সরকার থেকে মিলারদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হলেও নির্দেশনা মানছেন না মিলাররা। চাল প্যাকেটজাত করলেই দাম ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়ে যাচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওমর মো. ইমরুল মহসিন বলেন, যারা চাল প্যাকেটজাত করছে, তারা চালের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করছে না। ১ টাকার সুবিধা যোগ করলে দাম বাড়াচ্ছেন ৫ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগির বাজার হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করছে জানিয়ে খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রান্তিক খামারিরা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ৩ থেকে ৪ টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। তাই বাজার ঠিক রাখার জন্য কর্পোরেটের বৃত্ত ভাঙতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
এ সময় রমজানকে সামনে রেখে সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়তে ব্যবসায়ীদের আহবান জানান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমিয়ে আনার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। এছাড়া বছরে ২৬ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদার বিপরীতে দেশে ৩৭ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন হয় বলেও সভায় জানানো হয়।