শুভ্র মেহেদী, জামালপুর:
জামালপুরের বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদের সমারোহ জানান দিচ্ছে ব্যাপক সরিষা আবাদের কথা। গেলো বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর জেলাজুড়ে ব্যাপক হারে সরিষার আবাদ হয়েছে। শৈত্য প্রবাহের কারনে সরিষা ফুল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে জেলার কৃষকরা।
বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ আর মৌ মৌ গন্ধই জানান দিচ্ছে জামালপুরে ব্যাপক হারে সরিষার আবাদ হয়েছে। বন্যায় আমন ধানসহ সজবি ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জামালপুর সদরের লক্ষিরচর, কম্পপুর, রশিদপুর, কালিবাড়ি, তিতপল্ল্যা, দিগপাইত, নান্দিনা, নরুন্দি, পিয়ারপুর, গোপালপুর ছাড়াও সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে এ বছর প্রচুর পরিমানে সরিষা আবাদ করেছে জেলার কৃষকরা।
শীতের শুরুতেই শৈত্য প্রবাহের কারনে আগাম লাগানো সরিষার কিছুটা ক্ষতি হলেও এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের। ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আর গেলো বছরের মতো সরিষার দাম ভালো পাওয়া গেলে সব খরচ পুষিয়েও লাভের মুখ দেখতে পাবে প্রত্যাশা কৃষকদের।
জামালপুর কৃষি বিভাগের তথ্যনুয়াযী গেলো বছর জেলায় ২৭ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিলো। চলতি বছর ২৭ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও তা ছাড়িয়ে ৩২ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এদিকে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠজুড়ে ফুলের সমারোহে বিমোহিত হয়ে প্রতিদিন শত শত দর্শনাথী ভীড় করছে সরিষা ক্ষেতে। সৌন্দর্যে আত্মহারা কেউ কেউ ক্ষেতের আইল ধরে দৌড়া-দৌড়িতে ব্যস্ত, কেউবা ব্যস্ত সেলফি তুলতে।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা জানান, এ বছর সরিষা আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ২শ’ হেক্টর বেশি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে এবং কৃষকরা লাভবান হবে। এ ব্যাপারে মাঠকর্মীরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
সব মিলিয়ে সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় গেলো বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েও লাভের মুখ দেখবে এমনটাই আশা কৃষকদের।