নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র নির্বাচন, ৫৮’র সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, ৬২’র আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফা, ৬৯’র গণ অভূত্থ্যান এবং ১৯৭১ সলের ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন করিয়েছেন। তার জীবদ্দশায় তিনি ১৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন, বার বার মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ২৪ বছর পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে এসে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশকে যখন ঘুরে দাঁড় করাচ্ছিলেন, তখন ৭৫’র ১৫ আগস্ট তাকের স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হত্যা কে করিয়েছিলো? সেই হত্যা করিয়েছিল জিয়াউর রহমান। রবিবার বিকালে জামালপুর সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে মির্জা আজম এসব কথা বলেন।
মির্জা আজম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান জয় বাংলাকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশ জিন্দবাদ করিয়েছিলেন। পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা গোলাম আজমকে বাংলাদেশে পুর্নবাসিত করেছিলেন, সকল মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডারদের বাদ দিয়ে কুখ্যাত রাজাকার শাহ্ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। বহু মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, খুনি জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরন করে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তার স্ত্রী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্দনে তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ১৪টি গ্রেনেড চার্জ করেছিল। কিন্তু আল্লহর অশেষ রহমানে সেদিন শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন। সেদিন যদি শেখ হাসিনা মারা যেতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হতো না। জিয়া থেকে শুরু করে খালেদা-তারেকরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে দিতেই বঙ্গবন্ধুর পরিবারের উপর বার বার হত্যা চেষ্টা চালায়।
সরিষাবাড়ী কলেজ মাঠে আয়োজিত উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক বাবু অসীম কুমার উকিল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. মো: হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ।
পরে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ছানোয়ার হোসেন বাদশাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অধ্যক্ষ ড. মো: হারুন-অর-রশিদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।