নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবারের নির্বাচন নিয়ে যেহেতু জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে চক্রান্ত হচ্ছে, সেই কারনে নির্বাচনের পরিবেশটা যাতে সুন্দর হয়, শান্তিপূর্ণ হয়, উৎসব মুখর এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক হয়। তিনি বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল, আরেকটা হচ্ছে জামায়াত যুদ্ধাপরাধী দল, এরা নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবেনা, এটা আমরা বিশ্বাস করিনা।
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে জনগণের সমাবেশে, ভোটারদের আগমনে, ভোটারদের অংশগ্রহনে হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, আমরা সেটাই চাই। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে জামালপুরসহ ৬ জেলার সাথে ভার্চুয়ালী জনসভায় বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ওই সন্ত্রাসী দল নির্বাচনে বিশ্বাসও করেনা, আর ওদের দিয়ে দেশের কল্যানও আসবেনা, মানুষ খুন ছাড়া, দুর্নীতি ছাড়া তারা কিছু দিতে পারবেনা। সেই কারনে আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। নৌকা মার্কা দিয়েছি, পাশাপাশি আরো যারা দাঁড়াতে চায় তাড়াও দাঁড়াবে, তবে অনুরোধ থাকবে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবো এবং যার যার ভোট সে সে চাইবো, জনগণ যাকে খুশি তাকে দিবে।
তিনি বলেন, আমার ভোট আমি দিবো, যাবে খুশি তাকে দিবো, এটা তো আমাদেরই স্লোগান, এই স্লোগান দিয়েই তো আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি, এই স্লোগান দিয়েই সংগ্রাম করেছি। কাজেই সেকথা মনে রেখে যার যার ভোট চান, জনগণ যাকে বেছে নিবে, সেটাই মেনে নিবেন।
তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে, আর আওয়ামী লীগই পারবে ক্ষমতায় আসলে সেই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের ঘরে ঘরে যাবেন, দ্বারে দ্বারে ভোট চাইবেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে যেন আমাদের সেবা করার সুযোগ দেয়।
বক্তব্য শেষে জামালপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন প্রধামনন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পরে নৌকার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, নূর মোহাম্মদ, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলাল প্রমুখ।