নিজস্ব প্রতিবেদন । বাংলাটুডে২৪ স্পোর্টস :
ঐতিহাসিক ও গৌরবের এক জয় পেল বাংলাদেশের। টেস্ট ক্রিকেটে নতুন অধ্যায়ের সূচনা কি বলা যায় এই জয়কে? ক্রিকেটে ইতিহাসের সবচেয়ে পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী দল ইংল্যান্ড। সেই ইংল্যান্ডকে আজ টেস্টে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১৬৪ রানে অল আউট করে মিরপুর টেস্ট জিতল ১০৮ রানে। এর আগে জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতলেও এই জয়ের গুরুত্ব ভিন্ন। কারন বর্তমান সময়েও টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে শক্তিধর দেশ ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড শিবিরে ঝড়ের শুরুটা করেছিলেন মেহেদী মিরাজ। সমাপ্তি ঘটালেন সাকিব আল হাসান। এই দুইয়ের ঘূর্ণিতে বোলিংয়ে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ। ৭৭ রানে ৬ উইকেট মিরাজের। ৪৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
এর আগে বিনা উইকেটে ১০০ রান তুলে ফেলা ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত আর ৬৪ রান যোগ করতেই অল আউট হয়ে গেল। এক সেশনেই ইংল্যান্ডের ১০ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ।
অথচ চা বিরতির আগ পর্যন্তও মনে হচ্ছিলো জয় ইংলিশরাই পেতে যাচ্ছে।
‘একটা উইকেট লাগবে, একটা উইকেট’। স্টাম্পের মাইক্রোফোন থেকে বারবার ভেসে আসছিল মুশফিকের এমন আকুতি। একটা উইকেট পড়লেই যে ছন্দটা কেটে যায়। যে ছন্দে অনায়াসে বিনা উইকেটে ১০০ তুলে ফেলল ইংল্যান্ড!
সেই একটা উইকেট যখন পড়ল, শুরু হয়ে গেল উইকেটের বৃষ্টি; যা আর থামাতে পারেনি ইংল্যান্ড। দুই ইংলিশ ওপেনার ফিফটি করেছেন। অ্যালিস্টার কুক ৫৯, বেন ডাকেট ৫৬। এ ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল বেন স্টোকস (২৫)। বাকি আট ব্যাটসম্যান মিলে যোগ করেছেন মাত্র ১৮ রান!
একটা উইকেট পড়লেই ছন্দ যে কেটে যেত, সেটা বোঝা গেল চা বিরতির পর করা বাংলাদেশের দুই ওভারের প্রথম দুই বলে। প্রথমে মিরাজ, এরপর সাকিব। এই জোড়া আঘাতেই আশা জাগল বাংলাদেশের। কুকের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ১০০ রান এনে দেওয়া ডাকেট ফিরলেন, খানিক পরে জো রুটও (১)। এরপর নিজের ১৫তম ওভারে মিরাজ একাই জোড়া আঘাত হানলেন। গ্যারি ব্যালেন্স (৫) ও মঈন আলী (০) ফিরলেন পরপর। মিরাজের পরে ওভারে আবারও উইকেট! এবার ফিরলেন একপ্রান্ত আগলে রাখা কুক।
শুরুতে কুক আর ডাকেট মিলে কিন্তু বেশ ভোগাচ্ছিলেন। ২৭৩ রানের কঠিন লক্ষ্যটা তখন মনে হচ্ছিল বেশ সহজ। বিশেষ করে ডাকেট সুইপ ও রিভার্স সুইপে বাংলাদেশি স্পিনারদের লাইন-লেংথ এলোমেলো করে দিয়েছেন। তাঁর কারণেই থিতু হতে পারেনি স্পিনাররা। মাহমুদউল্লাহ তখন হাত কামড়াচ্ছিলেন ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই ডাকেটের সহজ ক্যাচ ফেলেছিলেন বলে।
কিন্তু ওই ‘একটা উইকেটে’র আঘাতই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল। বিনা উইকেটে ১০০ থেকে ৫ উইকেটে ১২৭। মাত্র ২৭ রানের মধ্যে প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানকে হারাল ইংল্যান্ড।
বারবার উদ্ধার করা ইংলিশ লোয়ার-মিডল অর্ডার এবারও ভোগানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিল। স্টোকস আর বেয়ারস্টো মিলে যখন ২২ রান তুলে ফেললেন সপ্তম উইকেট জুটিতে। বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে চার ইনিংসে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট পূর্ণ করলেন।
এখান থেকেই শুরু সাকিবের জাদু। সাকিবের এক ওভারেই ফিরলেন স্টোকস, আদিল রশিদ ও আনসারি। মিরাজ শেষটা টেনে দিলেন স্টিভেন ফিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে। উৎসবে মেতে উঠলো গোটা স্টেডিয়াম সাথে বাংলাদেশ।
ঢাকার জয় আক্ষেপ কি ঘুচাল? চট্টগ্রামে ২৩ রানের দূরত্বটা ঘুচিয়ে দিতে পারলে কিন্তু সিরিজের ফলটা ২-০ হতে পারত।
- সংবাদ শিরোনাম
- দেশে করোনায় সর্বোচ্চ রেকর্ডসংখ্যক ৯৬ জনের মৃত্যু
- আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি
- হেফাজত নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের অভিযোগ
- লকডাউন: ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার
- করোনায় মৃত আরো ৬৯, নতুন শনাক্ত ৬ হাজারেরও বেশি
- কঠোর লকডাউন শুরু, ঢাকার রাস্তায়-রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট
- বাংলা নববর্ষের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী: সকলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন
- জামায়াতের সাবেক আমির মকবুল আহমাদ আর নেই
- মসজিদে ২০জন তারাবীহ নামাজ পড়তে পারবেন: ধর্ম মন্ত্রণালয়
- কোরানের ২৬ আয়াত নিষিদ্ধের দাবি খারিজ ভারতে