বাংলাটুডে২৪ ডেস্ক :
বাংলাদেশের একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী বিশেষজ্ঞরা দেশে একটি সঠিক নির্বাচনের জন্য জনগণের আস্থাভাজন একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন।
আজ (শনিবার) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নাগরিক ভাবনা’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এমন মত প্রকাশ করেন বিশিষ্টজনেরা। এ সময় তারা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করারও পরামর্শ দেন।
সুজন সংবিধান অনুসরণ করে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছে। এ ক্ষেত্রে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত গত ইসির নিয়োগসংক্রান্ত আইনের খসড়া কাজে লাগানো যেতে পারে। খসড়াটি নিয়ে রাজনৈতিক দলসহ সব স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে এটিকে চূড়ান্ত করা যেতে পারে বলে তাঁরা মনে করে।
নিয়ে এ সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কমিশনের ওপর জনগণের আস্থার অভাব। এ অনাস্থা দূর করে কীভাবে আস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে তার ঊপায় বের করতে হবে।
তিনি জানান, ‘অনেক দেশে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিশন গঠন করা হয়। এটি একটি ভালো কৌশল। রাজনৈতিক দলগুলোর মত নিয়ে কমিশন গঠন করা হলে জনগণের আস্থা তৈরি হবে।’
শামসুল হুদা আরও বলেন, সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাহায্য করেছিল বলেই কিছু কিছু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেনও দাবি করেন, কেয়ারটেকারের সময় যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ইসির পুনর্গঠন হলেই গণতন্ত্র উদ্ধার হবে- এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। সরকার ইসিকে সহযোগিতা না করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। ইসির ওপরে আস্থা না থাকলে ভালো নির্বাচন হলেও বলবে ভালো হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সঠিক নির্বাচনের জন্য সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে কমিশন গঠন করতে হবে। আর এ জন্য সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করতে হবে। যাতে সৎ, যোগ্য, নিরপেক্ষ ও সাহসী ব্যক্তিরা কমিশনে নিয়োগ পান।
গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ইসি পুনর্গঠন নিয়ে মানুষের মনে সংশয় ও আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ আশঙ্কা করছে, সরকার হয়তো এমন কাউকে নিয়োগ দেবে, যারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। এ আশঙ্কা সরকারকেই দূর করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, বঙ্গবন্ধু সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আন্দোলন করেছিলেন। ভোটের অধিকার আদায়ের জন্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে দেশের জনগণকে ভোটের কথা ভুলিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেউ কোনো কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকবে না তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে পারে না। রাজনৈতিক সরকারের খবরদারি থাকলে যত শক্ত নির্বাচন কমিশনই হোক না কেন নির্বাচন সুষ্ঠু করা যাবে না।
- সংবাদ শিরোনাম
- করোনার টিকা কেনার স্বচ্ছতা নিয়ে টিআইবি’র উদ্বেগ
- ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা মার্কিন বিদায়ী প্রশাসনের
- ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি দিতে কড়াকড়ির অভিযোগ
- ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় উস্কানি দেয়ায় আবারো অভিশংসিত ট্রাম্প
- নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়লো শতাধিক ঘর
- চীন-পাকিস্তানের যৌথ আক্রমণ রুখতে আমরা তৈরি: ভারতীয় সেনাপ্রধান
- কুয়েতের মন্ত্রীদের একযোগে পদত্যাগ
- সিরিয়ার ওপর আবার আগ্রাসন চালালো ইসরাইল
- ভারতে আরো এক প্রতিষ্ঠানের করোনার টিকা সরবরাহ কাজ শুরু
- বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়া রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট পাবেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী