বিদেশ: রয়টার্স, স্কাই নিউজ, বিবিসি

এথেন্সের বাসিন্দারা বাড়ির ছাদের দাড়িয়ে দাবানলের ভয়াবহতা দেখছেন।
গ্রীসের রাজধানী এথেন্সের উপশহরে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাজধানী এথেন্সের কাছে অবস্থিত বাড়ি-ঘর ছেড়ে যাচ্ছে মানুষ। দাবানল নিয়ন্ত্রনে রাখতে ছয়’শ দমকল কর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের তিন’শ গাড়ি কাজ করছে।
এদিকে ভয়াবহ এ দাবানলে হতাহতের ঘটনার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি নৌকায় আগুন ধরে যাওয়ার পর ১০ পর্যটক সেখান থেকে পালিয়ে যান। তাদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস জানিয়েছেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা কাজ করে যাব। তিনি বসনিয়ায় তার রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন। এই পরিস্থিতিকে অত্যন্ত কঠিন সময় বলে বর্ণনা করেছেন দমকল কর্মীরা।

দাবানল নিয়ন্ত্রনে রাখতে ছয়’শ দমকল কর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের তিন’শ গাড়ি কাজ করছে।
মঙ্গলবার সকালে দাবানলে নিহতের সংখ্যা ২০ জন বলে নিশ্চিত করেছেন সরকারি মুখপাত্র দিমিত্রিশ জানাকোপোলাস।
দাবানলে নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই অ্যাথেন্স থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাগরতীরের মাটি রিসোর্টে আটকা পড়েছিলেন, কেউ নিজেদের বাড়ি-ঘরে বা গাড়ির ভেতরে আটকা পড়েছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এথেন্সের পূর্ব দিকে উপকূলীয় শহর মাতির রাস্তায় অন্তত চারজনের পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এদের মধ্যে দুইজন মোটরবাইকের ওপর, একজন গাড়ির ভেতর এবং আরেকজন গাড়ির নিচে মারা গেছেন। ওই ব্যক্তিরা নিরাপত্তার জন্য নিকটবর্তী একটি সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার জন্য ট্র্যাফিকের লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
দাবানলের আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় ১০৪ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হতাহতের মধ্যে ১৬ শিশু রয়েছে।

তীব্র দাবানলে পুড়ছে বন-বাড়িঘর।
কালো ধোঁয়ার কারণে প্রধান প্রধান মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে। প্রচণ্ড আগুনের কারণে বিমানের ফ্লাইটও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশের ইকাভ জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা মিলতিয়াদিস ভিরোনাস বলেন, ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চারজন গুরুতর আহত হয়েছে।
সোমবার সকালেই অ্যাথেন্সের কাছাকাছি অবস্থিত উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। হলিডে ক্যাম্প থেকেও শত শত শিশুকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ২০০৭ সালে ভয়াবহ দাবানলে দেশটিতে ৬০ জন নিহত হয়েছিল। মূলত গ্রীসের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় লাগা ওই আগুনে বন ও আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বাংলাটুডে২৪/আর এইচ