
সাত রঙের চা
ডেস্ক রিপোর্ট
সোমবার, বাংলাটুডে টোয়েন্টিফোর:
সকালে বা সন্ধ্যায় চায়ের কাপে চুমুক দিতে কে না চান। কাজ বা ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ চায়ে চুমুক দেন। প্রতিদিন আমরা কত রঙের চায়ে আর চুমুক দেই। দুধ চা নয়তো রঙ চা। কিন্তু এবার ঢাকায় বসে পান করুন চায়ের রাজধানী খ্যাত সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার সাত রঙের চা।
রহস্যজনক এই সাত রঙের চা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছেও আকষনীয় বিষয়। কিভাবে একটি গ্লাসে সাতটা রঙের চা, দেখতে অনেকটা আকাশের রংধনুর মতো, একটা আরেকটার সঙ্গে মেশে না, কিভাবে-বা তৈরি করা হয় এই রহস্যজনক চা। সাত কালার চায়ের জনক রমেশ রাম গৌড় হলেও তার উদ্ভাবনকে সংযোজন করে এখন অনেকেই সাত কালার চা তৈরি করতে পারেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন গৌরাঙ্গ বৈদ্য। তিনি এই সাত কালার চাকে সংযোজন করে দিয়েছেন স্পষ্ট সাতটি লেয়ার, যা দেখতে অনেকটা আকাশের রংধনুর মতো। তাই গৌরাঙ্গ বৈদ্যকে বলা হয় আধুনিক সাত কালার চায়ের জনক। সাত রঙের চা তৈরী রহস্য গৌরাঙ্গ বৈদ্যর কাছে জানতে চাইলে, প্রথমে বলতে না চাইলেও পরে মনের অজান্তে বলে ফেললেন, এটা একটা ঘনত্ব। এই চা তৈরি করা হয় ঘনত্বের উপর। সাতটা রঙ বা সাতটি লেয়ার তৈরি করা হয় চাপাতা ও চিনি দিয়ে। এটা তৈরি করা হয় প্রাকৃতিক জিনিসপত্র সবুজ চা (গ্রিন টি), কালো চা (ব্লাক-টি), লেবু, আদা এবং দুধ। একটি স্বচ্ছ কাচের গ্লাসে স্পষ্ট সাতটি লেয়ার এক এক চুমুকে এক একটি লেয়ারের স্বাদ। রমেশ ও গৌরাঙ্গ বৈদ্যর রহস্য ভেঙে এখন দেশের আরও দু’এক জায়গায় তৈরি হয় সাত লেয়ারের চা। সময় ও সুযোগের অভাবে যারা সিলেট মৌলভীবাজার বা শ্রীমঙ্গল যাওয়া হয়নি বা বিশেষ স্বাদের এই চা পান করতে পারেননি, তাদের জন্য সুখবর! এখন ঢাকার খিলগাঁও তালতলায় রংধনু সাত কালার চা ঘরেই পাবেন এই চা।
সাত রঙরে চা সম্পর্কে জানতে চাইলে রংধনু সাত কালার চা ঘরের মালিক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চায়ের প্রথম লেয়ার দুধ, দ্বিতীয় লেয়ারে গ্রিন টি, তৃতীয় লেয়ার দুধ চা, এরপর রং চা, তারপর সাদা চা, তারপর ব্ল্যাক কফি এবং শেষ লেয়ারটি অরেঞ্জ ফ্লেভারে তৈরি করা হয়। তিনি বলেন, শুধু সাত নয়, পাঁচ ও দুই রঙের চা-ও পাওয়া যায় আমার এখানে।
খিলগাঁও তালতলায় রংধনু সাত কালার চা ঘর দুটি। প্রথমটি তালতলা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আর দ্বিতীয়টি খিলগাঁও চৌরাস্তা (খিলগাঁও মডেল কলেজের বিপরীতে)। এর কোনো একটিতে গিয়ে আপনি আয়েশে সাত লেয়ার চায়ের স্বাদ নিতে পারেন।
এবিএস